জেনে নিন মাছি কত ধরনের রোগ জীবাণু বহন করে
19 March, 2025

বিজ্ঞানীরা বলছেন মাছি আমরা যা জানি তার থেকেও অনেক বেশি রোগ জীবাণু বহন করে।মাছির ডিএনএ বিশ্লেষন করে আমেরিকান গবেষকরা বলছেন- ঘরের মাছি আর নীল মাছি মিলে ৬০০ এর বেশি বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বহন করে। এর মধ্যে অনেক জীবাণু মানুষের শরীরে আক্রমনের জন্য দায়ী, যার মধ্যে রয়েছে পেটের অসুখের জন্য দায়ী জীবাণু, রক্তে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন জীবাণু এবং নিউমোনিয়ার জীবাণু।
পরীক্ষায় দেখা গেছে মাছি এসব জীবাণু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ায় তাদের পা আর ডানার মাধ্যমে। গবেষকরা বলেছেন মাছি তার প্রত্যেকটি পদচারনায় লাইভ জীবাণু ছড়াতে সক্ষম।লোকের এমন একটা ধারণা সবসময়ই ছিল যে মাছি রোগজীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এই ধারণার বাস্তব ভিত্তি কতটা এবং আসলেই মাছি কতটা ব্যাপকভাবে রোগজীবাণু বহন করে এবং তা ছড়ায় সেটা জানা ছিল না, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি গবেষক অধ্যাপক ডোনাল্ড ব্রায়ান্ট যিনি এই গবেষনার সঙ্গে কাজ করছেন।
মহামারি ও মাছিঃ
এই গবেষনায় ডি এন এ বিনাশ পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছি ও নীল মাছির শরীর থেকে সংগ্রহ করা অনুবীক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষা করে দেখা হয়।
দেখা যায় ঘরের মাছি যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই রয়েছে তা ৩৫১ ধরনের রোগ জীবাণু বহন করে। আর নীল মাছি যা দেখা যায় মূলত গরম দেশে, তা ৩১৬ ধরণের রোগজীবাণু বহন করে। এর মধ্যে বেশি ভাগ জীবাণু দুই ধরণের মাছি বহন করে। সাইন্টিফিক রিপোর্ট নামে একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে রোগ জীবাণু ছড়ানোর জন্য মাছি কতটা দায়ী সে বিষয় জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা যথেষ্ট ওয়াকি বহাল নন। আমাদের ধারণা জীবানু সংক্রমণের মাছির ভূমিকা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় গুরত্ব দিয়ে কখনও দেখেনি এবং রোগ মেয়াদি মহামারী আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে মাছির ভূমিকা অর্থাৎ মাছি কত দ্রুত রোগ জীবাণু ছড়াতে সক্ষম তা নিয়ে যথাযথ গবেষনাও হয়নি, বললেন প্রফেসর ব্রায়ান্ট। তিনি বলেন, খোলা জায়গায় অনেক্ষণ পড়ে থাকা খাবারটা আপনি খাবেন কিনা, এটা কিন্তু গুরত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।"
ঘরের মাছি অস্বাস্থ্যকর একথা নতুন নয়। তারা আবর্জনান্তপে উড়ে বেডপঁচা খাবার, মরা জীবজন্তুর দেহ এবং বর্জ্য পদার্থই তাদের চারণভূমি। মানুষের শরীরে নানাধরনের রোগব্যাধি এমনকি জীবজন্তু ও গাছের মধ্যেও নানা রোগ ছড়ানোর কারণ মাছি।
মরা পশু-পাখির শরীরের কাছে বেশি নীল মাছি উড়তে দেখা যায়। শহর এলাকায় নীল মাছি চোখে পড়ে বেশি। মাংসের দোকান জবাইয়ের জায়গা এবং আবর্জনান্তপের কাছে নীল মাছির উপদ্রব বেশি। তাই এসব উপদ্রোপ থেকে বাঁচার জন্য বায়োনিল ওয়েল স্প্রে ব্যবহার করে নিধন করা সম্ভব।